ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে হলে কোন খাবার বাদ দিবেন

 

ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে হলে কোন খাবার বাদ দিবেন

ফ্যাটি লিভার ঠেকাতে যেসকল খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে 

১)চিনিঃ চিনি ফ্যাটি লিভারের প্রধানতম কারন, বাসায় চিনি রাখা বন্ধ করে দিন, চিনিজাতীয় খাবার বাইরে থেকে আনা বা ঘরে তৈরি করা থামান। সবার ওজন কমবে, ফ্যাটি লিভারও কমবে।

২)সফট ড্রিংক্স ও সুইটেন্ড এনার্জি ড্রিংক্স+ফ্রুট জ্যুসঃ সম্ভবত বাংলাদেশে মদের কাজটা সফট ড্রিংক্সই সেরে দিচ্ছে। বিএসএমএমইউতে হওয়া গবেষনা অনুযায়ী দেশের প্রতি তিনজনে একজন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। নিঃসন্দেহে এর পেছনে প্রধানতম ভুমিকা সফট ড্রিংক্সের। হেলদি মনে করে অনেকেই বাচ্চাদের গাদা গাদা সুগার দেয়া ফ্রুট জ্যুস খাওয়ান, এনার্জি ড্রিংক্স খান তরুণদের অনেকেই। দিজ অল আর হিডেন কন্ট্রিবিউটরস বিহাইন্ড ফ্যাটি লিভার।

৩)সয়াবিন-সানফ্লাওয়ার রিফাইন্ড অয়েলঃ এগুলোতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পরিমান ওমেগা-৬ এর তুলনায় অত্যন্ত কম, (সানফ্লাওয়ারে শুন্যের কাছাকাছি)। ওমেগা-৬ টক্সিসিটি আমাদের সব ধরনের ইনফ্ল্যামাটরি ডিজিজের রিস্ক ফ্যাক্টর বাড়ায়।

 রোজ খেজুর খেলে মিলবে যেসব রোগ থেকে মুক্তি

৪)আটা-ময়দাঃ আটা ময়দার গ্লুটেন এবং অপিওয়েড ইফেক্ট আমাদের ইনফ্ল্যামেশান বাড়ায় ও প্রসেসড ফুডে এডিক্ট করে। আটার রুটি অনেকেই হেলদি বলেন, বাস্তবে, জেনেটিক্যালি মডিফাইড আটা আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি করে।

৫)চকোলেট-আইসক্রিমঃ এগুলো সুগার ফ্যাক্টরি বেইসিক্যালি। সেদিন এক রোগী আমূলের ডার্ক চকোলেটের ইনগ্রেডিয়েন্টস লিস্ট পাঠালেন। আমি দেখলাম, হাফ পাউন্ড চকোলেটের মধ্যে ৪৩ গ্রাম সুগার!!! আইসক্রিমের কথা আর নাই বলি।

৬)ফ্রাইড চিকেন ও অন্যান্য প্রসেসড চিকেন আইটেমঃ মুরগীর গোশত-ট্রান্স ফ্যাট-মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট-গ্লুটেনের এক ভয়াবহ কম্বিনেশান হচ্ছে ফ্রাইড চিকেন। বিশেষভাবে কম বয়সীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের হার বাড়ায় এর বিশেষ ভুমিকা আছে।

৭)পিৎজা, পাস্তা ও বার্গারঃ পিৎজা, পাস্তা ও বার্গার প্রত্যেকটার কেমিক্যাল কম্পোজিশন এক কথায় ভয়াবহ। চিনি, জিএমও ট্রান্স ফ্যাট-গ্লুটেন, এমএসজি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, এক্সট্রা সোডিয়াম সবকিছু আছে এগুলোয়।

খেয়াল করেন, এই প্রতিটা খাবারই জড়িত আপনার স্ন্যাকিংয়ের সাথে।

স্ন্যাকিং কমান, আপনার লিভারকে সুস্থ রাখুন। 

নিউট্রিশনিস্ট সজল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম