রমজান মাসে সুস্থ থাকতে যে খাবার খাবেন

 

রমজান মাসে সুস্থ থাকতে যে খাবার খাবেন

রমজান মাসে একজন রোজাদার হিসেবে আপনার প্রথম চিন্তা থাকবে "ইবাদত "পালন করা!  সঠিকভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় করা!  ফরয কাজগুলো সহী ভাবে সম্পন্ন করা! 

২য় চিন্তা আসবে খাবার নিয়ে যা ইবাদত এর একটি অংশ!  ইফতার ও সেহেরিতে  সঠিক পানাহার যা আপনার ইবাদত কে সুন্দর ভাবে শেষ করতে সাহায্য করবে!

যদি এটা খাবো ওটা খাবো সারাক্ষণ চিন্তা করতে থাকেন তাহলে রামাদানের অনেক আমল থেকে নিজেকে বঞ্চিত হতে হবে। সহজ কিছু আইটেম চিন্তা করে নিবেন। বাড়ির সকল কে একসাথে বসিয়ে বলে নিবেন " এইভাবে রান্না করলে আপনার নামাজ, রোজা তে কোন প্রভাব ইন শা আল্লাহ পড়বে না " 

আমি জানি এই পোস্টের কমেন্টে আমাকে অনেকেই জ্ঞান দিতে আসবেন যে, আমার পরিবারের ঐতিহ্য টেবিল সাজিয়ে খাওয়া!  হালিম, বেগুনি, জিলাপি, কাচ্চি ছাড়া আমার টেবিল সাজা সম্ভব না। তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য নয় আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

ইফতার কে সহজ করতে আপনি কি করতে পারেন যদি এই প্রশ্ন রাখি!তবে উত্তর টা হবে এমন - 

১. খেজুর

২. ফলের শরবত / লেবুর শরবত

৩. ছোলা + মুড়ি

৪. বেগুনি / পিয়াজু / চপ

৫. হালকা ফল 

১, ২ ঠিক রেখে বাকি ৩,৪ মেনু টা আপনি পরিবর্তন করতে পারেন এতে করে আপনার একঘেয়েমি ভাব আসবে না।  যেমন :

ছোলা+ মুড়ির জায়গায় ---- হালিম / খিচুড়ি / পাস্তা / নুডুলস  

তারপর ঘুরে ফিরে আবার আরেকদিন ছোলা+ মুড়ি

রমজানে সাহরি ও ইফতারির স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা

শরবত এও আনতে পারেন পরিবর্তন একেক দিন একেক শরবত যেমন: গুড়ের শরবর, লেবুর, পেপের শরবত, টকদইয়ের লাচ্ছি। এভাবে! 

ভাজা পোড়া একদিনে সব না। এই থিওরি মেনে চললে সব কিছুই টেস্ট করতে পারবেন।  একদিন বেগুনি, একদিন পিয়াজু, একদিন আলুর চপ, সবজি পাকোড়া, আরেকদিন চিকেন বা ফিস চপ। 

প্রতি শুক্রবার দিন পরিবারের সকলে মিলে ইফতার এর সুযোগ হয়। তাই এই দিন না হয় একটু ভালো কিছু সবার পছন্দ অনুযায়ী করলেন! 

ডিম আর দুধ কে ভুলে যাবেন না প্লিজ! ছোলা মুড়ি জিলাপি আর পিয়াজুর চাপে এই এক মাস অনেকেই ডিম, দুধ খেতে ভুলে যান।

যারা ইফতার করে হালকা খাবার খুজেন তারাবীর পর তারা একটা ডিম সেদ্ধ / ১ গ্লাস দুধ কে অল্টার করে খেতে পারেন।

সেহেরির জন্য এক্টাই পরামর্শ " বাদ দিবেন না" 

মানে সেহেরি তে কিছু হলেও খাবেন

যেমন: ১.দুধ, কলা, মুড়ি

২.দুধ ভাত কলা

৩. ভাত মাছ সবজি

৪. ভাত মুরগী সবজি

৫. ওটস + ফল + চিয়া সিডস

৬. কলা + দুধ + ডিম

একেকদিন একেক মেনু বাছাই করে নিবেন। মনে রাখবেন সেহেরি বাদ দেয়া মানে আপনি হাইওয়ে রোডে বের হলেন কিন্ত গাড়ি তে পর্যাপ্ত ফুয়েল নিলেন না।

মাঝপথে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে আপনার গাড়িও থেমে যাবে।

বেশি পরামর্শ দিবো না। বুঝদার দের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট! উপরের পরামর্শ গুলো একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য।  যাদের ক্রোনিক ডিজঅর্ডার আছে তারা ডাক্তার ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে রোজার প্রস্তুতি নিবেন।  

আল্লাহর সকল মুসলিম ভাই ও বোনের রোজা কবুল করুন। 

আল্লাহ হাফেজ!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম