জেনে নিন বাচ্চাদের টোফেন সিরাপের কাজ কি

 

জেনে নিন বাচ্চাদের টোফেন সিরাপের কাজ কি

টোফেন সিরাপের নানাবিধ ব্যবহার দেখা যায়। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির তৈরি এই ওষুধ হাঁপানি, সর্দি-কাশি, অ্যালার্জি, চোখ ওঠা ( কনজাংটিভাইটিস)   এর মতো রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই আর্টিকেলে আপনাদের জানানো হবে টোফেন সিরাপের আসল ব্যবহার , বাচ্চাদের জন্য টোফেন সিরাপের কাজ, ব্যবহারবিধি সম্পর্কে। 

জেনে নিন বাচ্চাদের জন্য টোফেন সিরাপের কাজ এবং অন্য আর কোন রোগগুলির ক্ষেত্রে এই ওষুধ কাজ করে। 

বাচ্চাদের জন্য টোফেন সিরাপের কাজ

টোফেন এর সাংকেতিক নাম "কিটোটাইফেন ফিউমারেট"। যা সিরাপ ও ট্যাবলেট আকারে ওষুধের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়। এন্টিহিস্টামিন অর্থাৎ ক্ষতিকর হিস্টামিন এর বিরুদ্ধে টোফেনের কার্যকারিতা থাকায় এটি শ্বাসতন্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহার করা যায়। শ্বাসতন্ত্রের কিছু সমস্যা হচ্ছে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, অ্যালার্জি, শ্বাসনালী ফুলে যাওয়া, পলিপস।

বাচ্চারা যে রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় তা হচ্ছে সর্দি ও ঠাণ্ডা লাগা। তারা আবহাওয়া ও পরিবেশের প্রতি খুবই সংবেদনশীল। আবহাওয়া ও পরিবেশের অবস্থা পরিবর্তনের কারণে বাচ্চারা ঘনঘন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। সর্দি-কাশির জন্য শ্বাসতন্ত্রে জটিলতা সৃষ্টি হলে বাচ্চারা স্বাভাবিক শ্বাসকার্য চালাতে পারে না। অবুঝ শিশু বোঝাতেও পারে না সে শ্বাস নিতে পারছে কি পারছে না। যার ফলে বাচ্চার জীবন নিয়ে টানাটানি লেগে যেতে পারে। 

বাচ্চার সর্দি ও সর্দির কারণে হওয়া কাশি প্রকট আকার ধারণ করার আগেই ব্যবস্থা নিন। টোফেন সিরাপ সেবনে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কেটে যায়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক দেখিয়ে এই ওষুধ দিয়ে দেখুন অবস্থার উন্নতি হয় কি-না। যদি না হয় তাহলে ঝুঁকি না নিয়ে বাচ্চাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।

 কাশি দূর করার কার্যকারী কিছু সিরাপের নাম

টোফেন সিরাপের আরও কিছু কাজ

সর্দি-কাশির চিকিৎসায় যত ওষুধ ব্যবহার করা হয় আমাদের দেশে, টোফেন সিরাপ সেগুলোর একটি।

কিন্তু শুধু এটাই টোফেন সিরাপের কাজ নয়। টোফেন সিরাপের মূল কাজ হাঁপানির চিকিৎসায়। হাঁপানির বা এজমা রোগের চিকিৎসায় টোফেন বা কিটোটাইফেন এর উল্লেখযোগ্য সাফল্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। মুখে খাওয়ার ওষুধ হলেও এটি হাঁপানি রোগীকে ইনহেলারের মতোই সুবিধা দেয়। হাঁপানি নির্মূল করতে না পারলেও এই ওষুধে হাঁপানির লক্ষণগুলোকে দমিয়ে রাখা যায়। 

অ্যালার্জি, হাঁপানি, সর্দির জন্য যেসব কোষ ও হরমোন দায়ী, সেসব কোষ ও হরমোনকে বাঁধা প্রদানের মাধ্যমে কিটোটাইফেন ওষুধ রোগীর উপকার করে থাকে।

চোখের রোগ কনজাংটিভাইটিস যেটাকে "চোখ ওঠা" বলা হয়, এই রোগের চিকিৎসায়ও মুখে সেবনের জন্য টোফেন বা কিটোটাইফেন দেয়া হয়। এছাড়াও চোখের প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, চোখ লাল হওয়া ও চুলকানি উপশমেও টোফেন সিরাপের কার্যকারিতা দেখা গিয়েছে। চোখের এসব সমস্যাকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমাধান করতে পারে এই ওষুধ। 

আবার পাকস্থলী ও অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এই ওষুধের অবদান লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার কারণে গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো উদরাময় সমস্যা দূর করা যায়। 

টোফেন সিরাপের ব্যবহারবিধি 

চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোনোভাবেই এই ওষুধ সেবন করা যাবে না। এই ওষুধ কেবলমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ীই সেবন করতে হবে। 

বাচ্চাদের জন্য বা অন্য কারও জন্য টোফেন সিরাপ নিতে হলে প্রথমে চিকিৎসককে রোগীর সমস্যার কথা জানাতে হবে। অন্য কোনো ওষুধ সেসময় খাচ্ছে কি-না, শারীরিক কোনো জটিল রোগ যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির জটিলতা আছে কি-না তা জানাতে হবে। 

চিকিৎসক এসব বর্ণনা জানার পর রোগীর বয়স ও রোগের অবস্থা দেখে সঠিক ওষুধ দিবে। কত বার সেই ওষুধ সেবন করতে হবে তা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই করতে হবে। ভালো ফলাফল পেতে ওষুধটি প্রতিদিন একই সময়ে সেবন করবেন। অতিরিক্ত ডোজ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।

শেষকথা 

বাচ্চাদের জন্য টোফেন সিরাপ হোক বা অন্য কারও জন্যই হোক, অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে কথা বলে এই ওষুধটি নিতে হবে। কোনো স্বাস্থ্য জটিলতা থাকলে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে বিস্তারিত কথা বলে তারপর ওষুধ নিবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

comment url