ঈদে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কি খাবেন?

 

ঈদে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কি খাবেন?

ঈদে আর্টিফিসিয়াল ট্রান্স ফ্যাট ঠেকান!!

বাংলাদেশে বছরে তিন লাখের বেশি মানুষ হার্ট ডিজিজে মারা যায়। এরমধ্যে গড়ে ৪.৪১% মৃত্যু হয় ট্রান্সফ্যাটের জন্য।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৪০ বছরের নিচে যারা হৃদরোগে মারা যান, অধিকাংশই মূলত ট্রান্সফ্যাটের কারনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

পৃথিবীতে হার্ট ডিজিজের সবচে বড় ডায়েটারি রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে ধরা হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্স ফ্যাটকে।

ট্রান্স ফ্যাট হচ্ছে মূলত দুই প্রকার।

১)চতুষ্পদ ঘাস খাওয়া প্রানীর গাট ব্যাকটেরিয়া যেটা তৈরি করে, সেটা ন্যাচারাল ট্রান্সফ্যাট। এগুলোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিকর দিক এখনো পাওয়া যায় নাই যদি না রোগীর শরীরে আগে থেকেই ইনফ্ল্যামেশান থাকে।

২)যখন মানুষ বানিজ্যিকভাবে লিকুইড তেলকে ঠান্ডা করে সলিড ফ্যাট বানায় এবং তা ক্রমেই শক্ত হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে হাইড্রোজেনেটেড হয়, সেটাকে বলা হয় আর্টিফিসিয়াল ট্রান্স ফ্যাট।

 শিশুদের শারীরিক গঠনে প্রোটিনের ভূমিকা। প্রোটিন কিভাবে দেবেন?

আমরা অনেকে যে ডালডা-ভেজাল ঘি-মাখন খাই, নকল পাম অয়েল-সয়াবিন তেল খাই, সো কল্ড ভেজিটেবল ঘি/বাটার খাই, এগুলো সব এই আর্টিফিসিয়াল ট্রান্স ফ্যাটে ভরপুর।

বাংলাদেশে যেসব স্ট্রিট ফুট এবং প্যাকেজড ফুড বিক্রি হয় এগুলিতে ট্রান্স ফ্যাট রেগুলেশানের কোন ধার ধারা হয় না।

বাস্তবে, কৃত্রিম ট্রান্স ফ্যাট এত ভয়ংকর যে লম্বা সময় ধরে দিনে ২ গ্রামের বেশি ট্রান্স ফ্যাট খেলে হার্ট ডিজিজের ঝুকি বাড়ে প্রায় ২০-৩৫%।

২০১০-২০২০ সালে হওয়া বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি মেইড ফুডের স্যাম্পলে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমান ০.৯% থেকে ২০% এরও বেশি। বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি ফুডে ট্রান্স ফ্যাটের গড়ই হচ্ছে ১১%, মানে সো কল্ড যেসব প্যাকেটজাত হেলদি খাবার আমরা খাই, এগুলো খাবার যোগ্যই না।

বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টের কিচেনে খরচ কমিয়ে স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় প্রচুর পারশিয়ালি হাইড্রোজিনেটেড অয়েল, এগুলিও ট্রান্সফ্যাটের আখড়া।

ঈদে তাই ঘরে তৈরি খাবার খান এবং বাসায় ভেজিটেবল ঘি/বাটার-ডালডা এবং সয়াবিন-রাইস ব্রান অয়েল কেনা থেকে বিরত থাকুন।


নিউট্রিশনিস্ট সজল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম